বিডিনিউজ ১০ স্বাস্থ্য: লেটুস পাতা নিশ্চয়ই চিনেছেন। বার্গার কিংবা সালাদে এটি ব্যবহার করা হয়। লেটুস পাতার বৈজ্ঞানিক নাম লাকটুসা স্যাটিজ এল। লেটুস পাতার অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে।
বলিরেখা দূর করে
নিয়মিত লেটুস পাতা খেলে বার্ধক্য দেরিতে আসে। ত্বকে বলিরেখাও পড়ে না। এ পাতায় রয়েছে সোডিয়াম ভিটামিন-বি ওয়ান, বি টু থ্রি। এই উপাদানগুলো শরীরের যে কোনো অঙ্গে পানি জমা রোধ করে।
কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে
লেটুস পাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও বিটা ক্যারোটিন। এই দুটি উপাদান কোলেস্টেরলের অক্সিডেশনকে বাধা দেয় এবং কোলেস্টেরল কমায়। রক্তের খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করায় হৃদপিণ্ড ভালো থাকে।
ঠান্ডা সমস্যা দূর করে
ঠান্ডাজনিত অসুখ যেমন হাঁচি, কাশি, কফ, হাঁপানি ও ফুসফুসের ইনফেকশন দূর করতে চাইলে সালাদে প্রতিদিন লেটুস পাতা ব্যবহার করুন।
হাড়ের ক্ষয় রোধ করে
ভিটামিন কে এর উৎস লেটুস পাতা। এটি হাড়ের মেটাবলিজম বাড়ায়। নিয়মিত লেটুস পাতা খেলে হাড়ের ক্ষয় থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
কেটে গেলে
ত্বকের কোথাও কেটে গেলে বা ছিঁড়ে গেলে, লেটুস পাতা থেঁতলে আক্রান্ত স্থানে লাগান। ব্যথা ভালো হয়ে যাবে।
ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে
কম ক্যালরির একটি উপাদান লেটুস। এটি ওজন সমস্যা সমাধানে উপকারী ভূমিকা রাখে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে
রক্তে চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে লেটুস পাতা। তাই ডায়াবেটিস রোগীরা নিশ্চিন্তে এটি খেতে পারেন।
এছাড়াও রক্তশূন্যতায় ভোগা রোগীদের জন্য এটি উপকারী একটি খাবার। লেটুস পাতা থেঁতলে মুখের ত্বকে লাগালে পোড়াভাব দূর হয়ে যায়।